জনাব জহির খান ছোটবেলা থেকেই একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। এ জন্য স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে তিনি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সাথে যোগ দেন। বিভিন্ন মিছিল, মিটিং সমাবেশে নেতৃত্ব দেন। আজ তিনি দেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির একজন নেতা।
জুলিয়ান পৃথিবীর বিভিন্ন আবিষ্কার দেখে মুগ্ধ। একদিন সে নিজেও কিছু একটা আবিষ্কার করে বিখ্যাত হতে চাইল। তখন থেকেই বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ির ইঞ্জিন, মডেলসহ সরবিষয়ে ধারণা নিতে লাগল। বহু সাধনার পরে সে সত্যিই অত্যাধুনিক এক ধরনের ইঞ্জিনসম্পন্ন নতুন মডেলের গাড়ি আবিষ্কারে সক্ষম হলো।
পিংকির মা পিংকিকে বলল, পরীক্ষায় এ(+) পেলে ল্যাপটপ কিনে দেবে। মায়ের কথা শুনে পিংকি ভালোভাবে পড়ল এবং এ(+) পেল। মা পিংকিকে ল্যাপটপ কিনে দিল।
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিসেস তাসলিমা একটি বিষয়ের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, বিষয়টি নিষ্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে শরীরাভ্যন্তরে অভাব দেখা দেয়। ফলে অভাব মেটানোর জন্য তাড়না সৃষ্টি হয়। এরপর উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের আচরণ করে একপর্যায়ে সফল হওয়া যায়। এরপরে বিশ্রাম গ্রহণ আবশ্যক হয়।
মুনা দুইদিন ধরে কোনো খাবার গ্রহণ করেনি। ফলে সে ক্ষুধায় পীড়িত হয়ে অশান্ত ও চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
সুবল ও ধীবর ৩ ঘণ্টা ধরে খুব লাফ-ঝাঁপ করে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। ফলে তাদের মুখের অভ্যন্তর ও কণ্ঠনালির আশপাশ শুকিয়ে গেল এবং তারা পানির তৃষ্ণা অনুভব করল।
রিংকু কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছে। কিছু খেতে পারে না। ফলে সে ক্ষুধায় ছটফট করছে।
মি. গনি মনোবিজ্ঞান ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন, আমাদের ক্ষুধা লাগলে আমরা কাকে দায়ী করি। উত্তরে একছাত্র বলল, পাকস্থলীকে দায়ী করি। গনি বললেন, ক্ষুধার জন্য আরো অনেক অঙ্গ দায়ী।
মেহেদীকে শিশুকালে তার পরিবারের সবাই খুব আদর যত্ন করত। ফলে সে পরিবারের সবার সাথে মিশে আনন্দ পেত। পরবর্তীতে মেহেদী খেলার সাথি ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করত। এখন পরিণত বয়সে এসে সে আশপাশের লোকজনের সাথে মিলেমিশে বসবাস করছে।
পড়শী ছোটবেলা থেকে গানের শিল্পী হয়ে খ্যাতি লাভ করতে চাচ্ছিল। এ কারণে তার বাবা-মা তাকে গানের প্রশিক্ষণ দেয়। সে 'ক্লোজআপ ওয়ান' গানের প্রতিযোগিতায় ১ নং আসন দখল করে শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।
হাবিব একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তারা ৫/৬ জন সবসময় একসাথে চলাফেরা করে, খেলাধুলা করে। কলেজে যাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করা, পাঠাগারে পড়া প্রভৃতি একসাথে করে আনন্দ পায়। বড় হয়ে তাদের কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউ বা সমাজকর্মী। তাই সন্ধ্যার পর সবাই পড়ালেখায় মনোনিবেশ করে।
ফাতেমা ও রেবেকা রাজশাহী থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশিক্ষণ নিতে ঢাকায় এসেছে। ফাতেমা নানা সমস্যা কাটিয়ে দক্ষতার প্রকাশ ঘটিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করতে চায়। রেবেকার এ নিয়ে তেমন ভাবনা নেই। খাবার ঠিকমতো হচ্ছে কি না এ নিয়ে সে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকে।
মেহেদী হাসান মিরাজ তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। সম্প্রতি অভিষেক টেস্ট সিরিজেই হয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজ। স্বপ্ন দেখেন আরো সামনে এগিয়ে যাবার।
সিমির বাবা খুবই অসুস্থ। শেষ রাতে টেলিফোনের শব্দ শুনে ভয়ে সিমি দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকে। সিমির ছোট বোন রাখির বাড়ির প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই। তিনি তার কর্মস্থলে উপরের পোস্টে পদোন্নতি পাবার জন্য ব্যস্ত থাকেন।
আমিনা তার পোষা বিড়ালটিকে খুব ভালোবাসত। নিজের খাওয়ার জন্য রাখা দুধটুকু বিড়ালটিকে খাওয়াত। সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু দিয়ে বিড়ালটিকে গোসল করাত। হঠাৎ একদিন বিড়ালটি কোথায় যেন হারিয়ে গেল। বিড়ালটিকে হারিয়ে আমিনা খুব কষ্ট পেল। তবে এজন্য সে কোনো ধরনের উত্তেজনা প্রকাশ করেনি।
রেজানুল দুপুরে কাজের ফাঁকে বাসায় খাবার খেতে আসলেন। এসে দেখলেন তার স্ত্রী বাড়িতে নেই। রাগে তিনি গজগজ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন।
লুবনা ও ঝরনা হোস্টেলে একই রুমে থাকত। পরস্পর পরস্পরের সুখ- দুঃখের অংশীদার ছিল। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় ঝরনা মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। ঝরনার মৃত্যুতে লুবনা অত্যন্ত মর্মাহত হয়। লুবনার বিয়োগ ব্যথায় সর্বদা তার মনটা ভারাক্রান্ত থাকে।
দীপক তার মায়ের কাছে একটি মোবাইল চাইল। তার মা মোবাইল দিতে অস্বীকার করায় সে অত্যন্ত রেগে গেল। রাগের তীব্রতায় তার চোখের মণি দুটো বড় হয়ে গেল এবং শরীরের লোম খাড়া হয়ে উঠল।
চার বছরের শিশু সোহান খেলনা গাড়ি দিয়ে খেলছিল। গাড়িটি তার হাত থেকে পড়ে ভেঙে গেল। সোহান কান্না শুরু করল। পরে তার মা তাকে আর একটি গাড়ি এনে দিলে সে কান্না থামায় এবং আনন্দ প্রকাশ করে।
সুহাদা রহমান এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় সে পাস করতে পারেনি। ফেলের খবর শুনে সে অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে পড়ে। দুঃখ-কষ্টে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে খালামনির সাথে কাপড়ের ব্যবসার কাজে নামে। অবশেষে পড়াশোনার ব্যর্থতা ঘুচিয়ে আজ সে ব্যবসা সফল নারী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
Read more